মোঃ সাজিদ হাসান বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ার্সদের বড় একটি প্লাটফর্ম হলো স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ার্স যারা বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে ইঞ্জিনিয়ার দের ক্যারিয়ার গড়া নিয়ে বিভিন্ন সেমিনার আয়োজন করে। বাংলাদেশের স্টুডেন্টরা বাইরে গিয়ে দেশের নেতৃত্ব প্রদান করতে পারে সে জন্য তারা দেশের স্টুডেন্ট সহ বাংলাদেশের যে সকল স্টুডেন্ট গন বাইরে গিয়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলছে তাঁদের নিয়ে এই সংগঠন।
যারা দেশে আছেন তারা যেনো এক সময় বিভিন্ন দেশে গিয়ে বাংলাদেশের হয়ে নেতৃত্ব প্রদান করতে পারে। সেই লক্ষে নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ার্সের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো, ক্যারিয়ার মিট আপ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, দেশ বরেণ্য বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত প্রকৌশলীগণ ।
অনুষ্ঠানে ১ম বক্তা হলেন ইঞ্জি মোঃ কামাল হোসেন,তিনি সেকশন ইঞ্জিনিয়ার,বাংলাদেশ বেতার(২৫ তম বিসিএস),তিনি বক্তব্যে বলেন যে মানুষ অনেক ভাবে দ্রুত সফলতা পেতে চাই কিন্তু এই সফলতা সহজে পাই না,তবে যদি কেও চেষ্টা করে তাহলে অবশ্যই সেটা পাওয়া সম্ভব, আপনারা যারা এখন ইউনিভার্সিটি লাইফে আছেন তাঁদের উচ্চ শিক্ষা বা রিচার্জ করার জন্য এখন এই সময় টা কাজে লাগাতে হবে যাতে এক সময় আপনাদের দ্বারা বড় কিছু এই দেশ পেতে পারে।
২য় বক্তা হলেন ইঞ্জি. জাকারিয়া জালাল,হেড অফ ডিভিশন বসুন্ধরা (এলপি গ্যাস) তার বক্তব্যতে বলেন আপনারা একজনের কথা কেনো শুনেন জানেন,সেটা হল আপনি তার উপর প্রভাবিত হয়েছেন,তাই কথা গুলো শুনতে আপনার ভালো লাগে। তবে আপনারা যখন কোনো কিছু করতে চাইবেন মন থেকে তখন আপনি ভাববেন এটা কেনো করবো? কিসের জন্য করবো? করে কী হবে? তাহলে আপনার কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সমস্যা হবে না,এতে করে আপনার ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষে অনেক দূর এগিয়ে যাবেন অন্য দের চেয়ে।
তিনি শেষে একটি উক্তি বলেন- টাকা ইনকাম করার জন্য পড়াশোনা করেন না,টাকার হওয়ার জন্য পড়াশোনা করেন। যাতে আপনার মেধা দিয়ে আপনি টাকা আয় করতে পারেন।
৩য় বক্তা হলেনএম আব্দুল্লাল আল মামুন এ্যাস্টেন্ট প্রফেসসর,ড্যাফোডিল ইন্টাররন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি,তার বক্তব্য সু মধুর হয়ে বলেন আমরা সবাই চাকরীর পিছনে ছুটাছুটি করি এতে করে আমাদের জীবনে অনেক কিছু করার সময় টা নষ্ট হয়। কারন সরকার দেশের ১% বা ২% মানুষকে চাকুরী দিতে পারবে। তাহলে আমাদের এখন কী করতে হবে অবশ্যই অপশনাল পথ রাখতে হবে। যাতে একটা মিস গেলে অন্যটি আমরা পেতে পারি,কর্পোরেট চাকরী ক্ষেত্রে তিনি বলেন,বাজারে দক্ষতার চেয়ে স্টুডেন্ট বেশি,যার জন্য আমরা দক্ষ মানুষ পাচ্ছি না,সবার চিন্তা যে পড়াশোনা শেষে চাকরী করতে হবে,যার কারনে শুধু সাটিফিকেট নিচ্ছে কিন্তু তার যে কী কী দক্ষতা দরকার হলে একটি কোম্পানি তাকে জব দিবে সেটা তার জানা নাই, তাই আমি আপনাদের বলতে চাই এই মানসিকতা থেকে আপনাকে বের হয়ে আসতে হবে,আপনি কী পারেন বা আপনি চাকরী কোন বাজারে যাবেন সেটা ঠিক করে তার জন্য সময় গুলো কাজে লাগাতে হবে। তাহলে দেখবেন জব আপনাকে খুঁজতে হবে না সেই আপনাকে খুঁজে নিবে। তবে এর জন্য আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে আপনাদের কানেক্টিভিটি বাড়াতে হবে।
সর্বশেষে যার বক্তব্য শোনার জন্য বাংলাদেশের তরুন ইঞ্জিনিয়ার গন বসে থাকেন তিনি হলেন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ার্সের কো-ফাউন্ডার ও বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের(এ.জিম) ইঞ্জি. হাসান মাহামুদ, উনি সকলের উদ্দেশ্য বলেন স্টুডেন্ট লাইফে নিজের টাকা খরচ না করে বহুত দেশ ঘোরা যায় সংগঠন গুলো মাধ্যমে,কিন্তু এর জন্য আপনার যোগ্যতা লাগবে কারন নিজের দেশ কে প্রেজেন্ট করতে হলে নিজেকে তৈরি করুন নিজে যে কাজ গুলো করছেন তার ডকুমেন্টস রাখুন যাতে আপনি কোথাও সাবমিট করতে হলে তখন আপনার খুঁজতে কষ্ট না হয়। আর এই ভার্সিটি লাইফ থেকে এইটা শুরু করুন দেখবেন এক সময় আপনার অনেক বড় একটা অর্জন হবে যা দিয়ে নিজের ও দেশের জন্য আপনি কাজ করতে পারবে। তিনি সকলকে আহ্বান জানান যে আপনারা যে বিষয় জানেন না সে বিষয় জানার জন্য আপনি আগ্রহ প্রকাশ করুন কমিউনিকেশন তৈরি করুন দেখবেন এক সময় সুন্দর হবে সব কিছু।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ার্সের অপারেশন অফিসার মেহেদী হাসান,তিনি বলেন এই অনুষ্ঠান আজকে তোমার জন্য অনেক উপকার আসবে,আমরা সবাই মিলে সংগঠন সহ দেশের উন্নয়নে কাজ করবো, আমাদের সংগঠন থেকে এমন ক্যারিয়ার অনুষ্ঠান ঢাকার প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয় করবো ও তোমরা আমাদের সাথে থাকবে,এই বলে তার বক্তব্য শেষ করেন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নর্দান ইউনিভার্সিটির এ্যাম্বাসেডর,মেহেদী হাসান মুরাদ। অনুষ্ঠান শেষে অথিথিদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।