গ্যাস সংকট মোকাবিলায় সিএনজি স্টেশনগুলো আরও দুই ঘণ্টা বন্ধ রাখতে চায় সরকার। মঙ্গলবার সিএনজি স্টেশন মালিকদের সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল-গ্যাস কোম্পানি পেট্রোবাংলার এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কবে থেকে এবং কয়টা থেকে কয়টা পর্যন্ত সরবরাহ বন্ধ থাকবে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
আজকের বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আরও দুই ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার সরকারি এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হলে তাতে একমত হননি স্টেশন মালিকরা। তাদের দাবি, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার পাশাপাশি লোডশেডিংসহ নানা কারণে স্টেশনগুলো এমনিতেই সমস্যায় আছে। এর মধ্যে গ্যাস সরবরাহ আরও দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকলে ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তারা।
বৈঠকে উপস্থিত থাকা সিএনজি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ফারহান নূর জানান, সিএনজি স্টেশনগুলো বর্তমানে মোট সরবরাহ করা গ্যাসের মাত্র ৩ শতাংশ ব্যবহার করে, কিন্তু দাম দেয় সর্বোচ্চ। এই অল্প গ্যাসে রেশনিং বাড়িয়ে খুব বেশি লাভ হবে না। বরং গাড়িতে তেল ব্যবহারের পরিমাণ বাড়বে যা দেশের পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা বলেন, রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত সবার মঙ্গলের জন্য, যদিও তাদের ব্যবসায় কিছুটা সমস্যা হবে। কিন্তু তাদের বুঝতে হবে সরকার বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্তে যাচ্ছে।
দেশে বর্তমানে গ্যাসের চাহিদা ৪২০ কোটি ঘনফুট। এরমধ্যে পেট্রোবাংলা সরবরাহ করছে ২৬৭ কোটি ঘনফুট। আর এলএনজি থেকে আসছে ৩৮ কোটি ঘনফুট।